Wednesday 22 September 2021

চীনা কোম্পানি 'এভারগ্রান্ডে' এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের প্রভাব আসতে পারে

চিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্মাণ সংস্থা এভারগ্রান্ডে। চিনের জিডিপি প্রায় ২% এই নির্মাণ সংস্থার উপর নির্ভর করে। শুধু নির্মাণের ব্যবসাই নয়, স্বাস্থ্য, গাড়ি, সংবাদ মাধ্যম, আর্থিক সংস্থা, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বহু ব্যবসাই পাশাপাশি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে নির্মিত এই সংস্থা পানীয় জলের বোতল বিক্রি ও শুকর ফার্মিং ব্যবসা দিয়ে শুরু করেছিল। বর্তমানে চিনের অন্যতম বড়ো ফুটবল ক্লাব এর Guangzhou Evergrande FC এর মালিক। কোম্পানির বর্তমানে কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ্য এবং অস্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩৮ লক্ষেরও বেশি । বর্তমানে প্রায় ২৮০টির বেশি শহরে প্রায় ১৩০০টি নির্মাণ প্রকল্প চলছে। 

বিভিন্ন নিমার্ণ কাজ চালানোর জন্য শুধু চিন থেকে নয় বিশ্বের বাজার থেকেও এই সংস্থা ঋণ গ্রহণ করেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের বাজারে এই সংস্থার ঋণ এর পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার। নির্মাণ ব্যবসা বন্ধ হলে বাকি ব্যবসগুলিতেও এর প্রভাব পরবে। এ ছাড়াও বহু কর্মচারীদের বেতন বাকি, বহু ঋণ বাকি যে সব কোম্পানি এই সংস্থাকে জিনিসপত্র সাপ্লাই করে তাদের কাছে, বহু বিল্ডিং তৈরির কাজ বাকি এবং প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ এই সংস্থা কে টাকা কিছু করে টাকা দিয়েছে তাদের স্বপ্নের ফ্ল্যাট তৈরির জন্য। এদিকে সুদসহ ঋণ মেটানো নাও সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে এই সংস্থা। এর ফলে এমন একটি সংস্থা ডুবলে পরে বিশ্বের বাজারে তার প্রভাব পরবে এটা বলা বাহুল্য। আমেরিকা, জাপান, ভারতবর্ষের সহ বিশ্বের শেয়ার বাজার এর প্রভাবে বেশ ধাক্কা খেয়েছে। বেশ কিছু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ২০০৮ সালে আমেরিকার লেহম্যান কোম্পানির ডুবে যাওয়ার সাথে চিনের এই এভারগ্রান্ডের আর্থিক সংকটের তুলনা করছেন। তবে চিনের ঋন-গ্রস্ত সম্পত্তি বিকাশকারী চেয়ারম্যান একটি চিঠিতে সংস্থার কর্মচারীদের জানিয়েছেন যে এভারগ্রান্ড সংস্থা আত্মবিশ্বাস যে  "তারা সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে।"

Friday 10 September 2021

শেয়ার মার্কেট কি? নিফটি, সেনসেক্স কি? কি ভাবে ইনভেস্ট করবেন শেয়ার মার্কেট এ? NSE, BSE কি?

শেয়ার মার্কেট কি? নিফটি, সেনসেক্স কি? কি ভাবে ইনভেস্ট করবেন শেয়ার মার্কেট এ? NSE, BSE কি? এসব প্রশ্নগুলো আজ চারিদিকে ঘুরছে। Saving account, Fixed deposit account এ interest rate ক্রমশ কমে যাওয়ার ফলে অনেকেই শেয়ার মার্কেট এ টাকা ইনভেস্ট করার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু অনেকেই সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন না কি ভাবে শেয়ার বেচাকেনা হয়। এই লেখায় পুরো শেয়ার মার্কেট কে খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপনা করা হয়েছে। শেয়ার মার্কেট এর ইতিহাস নিয়ে পরবর্তী লেখায় আলোচনা করা হবে। 

প্রথমে আসি একটা ছোটো ব্যবসায় কথায়। ধরুন আপনি একটা ব্যবসা খুলেছেন। আলু ভাজা বিক্রির ব্যবসা। বাজার থেকে আলু কিনে এনে বাড়িতে আলু ভাজা তৈরি করে সেটা প্যাকেট করে লোকাল দোকানে দোকানে বিক্রি করছেন এবং দোকান থেকে কাস্টোমার আলু ভাজা কিনছে। আপনার ব্যবসাটি চালাতে প্রথমে 5000 টাকা ফান্ড লেগেছে ধরে নিলাম, এবং আপনি একাই পুরো কাজটি করছেন। আপনার ব্যবসার নাম দিলেন আপনি 'আলু ভাজা'। এবার ধরুন আপনার আলু ভাজা কাস্টোমার এর পছন্দ হলো এবং দোকানগুলিতে বিক্রি বাড়লো, মানে আলু ভাজার চাহিদা বাড়লো। আপনার কাছে তখন বেশি করে আলু ভাজা বানানোর অর্ডার এলো। আপনি একা তখন পারবেন না দেখে কিছু ছোটো যন্ত্রপাতি কিনলেন এবং দুজন কে কাজে নিয়োগ করলেন কর্মচারী হিসাবে যারা আপনার সাথে আলু ভাজা তৈরি করছে। আপনার ব্যবসা বাড়লো সারা শহরে আপনার আলু ভাজা বিক্রি হতে শুরু করলো। চাহিদা আরও বাড়তে থাকলো। ঠিক এমন অবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে চাইলে , আপনি দেখলেন আপনার আরও ফান্ড এর প্রয়োজন, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রয়োজন, আরও কর্মচারীও দরকার। এতোদিন বাড়িতে তৈরি করেছিলেন কিন্তু এখন একটা কারখানা বানানোর প্রয়োজন। এতে আপনার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ফান্ড দরকার। আপনি ব্যাংক এ লোনের জন্য গেলেন ব্যাংক আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত লোন দিতে রাজি হলো। আপনি এতো দিন যে ব্যবসা করেছেন এবং তাতে যা লাভ করেছেন সব মিলিয়ে আপনার কাছে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফান্ড আছে। আপনি আপনার দুজন বন্ধুর কাছে গেলেন , তাদের আপনি আপনার ব্যবসার অংশীদার হওয়ার পরামর্শ দিলেন। দুজন বন্ধু ব্যবসার ভবিষ্যত দেখে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলো এবং দুজনেই ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়ে ব্যবসায় অংশীদার হলো। লভ্যাংশ এর পরিমাণ অংশীদারীর শতাংশ হিসাবে ভাগ হবে। এখন আপনাদের ব্যবসার নাম হবে 'আলু ভাজা প্রাইভেট লিমিটেট'। কারখানা খোলা হলো , আলুভাজার ব্যবসা অনেক বড়ো হলো । সারা রাজ্যে আপনার আলু ভাজা বিক্রি হলো, বাইরের রাজ্য সহ সারা দেশ থেকে এখন আলুভাজার চাহিদা বাড়তে থাকলো। এমন অবস্থায় দেখলেন আরও কারখানা খুলতে হবে, আরও কর্মচারীর প্রয়োজন। বাইরের রাজ্যেও কারখানা খুলতে হবে চাহিদা মেটাতে। আপনার এখন প্রায় 5 কোটি টাকার প্রয়োজন ধরে নিলাম। ঠিক এই জায়গার আসে শেয়ার মার্কেট । আপনি এখন প্রয়োজন মতো টাকা পেতে মার্কেট থেকে টাকা তুলবেন। আপনার ব্যাবসা বা কোম্পানির অংশীদারির কিছু অংশ বাজারে ছেড়ে দিলেন শেয়ার হিসাবে। 5 কোটি টাকার IPO অফার করলেন। IPO মানে Initial public offering । প্রথম বার যখন কোনো কোম্পানি শেয়ার বাজার থেকে টাকা তোলে তখন IPO ইস্যু বলা হয়। প্রতি শেয়ার এর দাম ধরা হলো 1000 টাকা এবং বাজারে 50000 শেয়ার ছাড়লেন এবং 5 কোটি টাকা আপনি বাজার থেকে তুললেন। আপনার কোম্পানির নাম হলো 'আলু ভাজা লিমিটেড'। বাজার মানে কোনটা ? ভারতে NSE (National Stock Exchange) আর BSE (Bombay Stock Exchange) দুটো বাজার রয়েছে। বাজার থেকে ভালো স্টক এক্সচেঞ্জ বলা যায়। কি হয় এখানে? IPO ইস্যু হওয়ার পর এবার স্টক বেচাকেনা করা হয় এখান থেকে। আপনি শেয়ার বিক্রি করবেন অন্য একজন সেই শেয়ার কিনবে। NSE আর BSE তে শেয়ার বেচাকেনা হয়। শেয়ার এর দাম বেচাকেনার উপর নির্ভর করে। আর এই বেচাকেনা নির্ভর করে সেই কোম্পানির উপর, কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, ফান্ডামেন্টাল, ব্যবসার ভবিষ্যত, কারেন্ট খবর অনেক কিছুর উপর। ধরুন একটা কোম্পানির উপর ভালো খবর এলো। তখন সবাই ওই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য চাহিদা বাড়াবে, তখন ওই কোম্পানির শেয়ার এর দাম বাড়বে এবং খারাপ খবর এলে তার উল্টো হবে।  
ভারতে NSE এবং BSE তে প্রায় 5000 কোম্পানি লিস্টেটেড আছে । নিফটি (NIFTY) হলো NSE এর ইনডেক্স (Index) , সেনসেক্স (SENSEX) হলো BSE এর ইনডেক্স। ভারতের প্রথম সারির 50 টা কোম্পানি নিয়ে NIFTY 50 তৈরি হয়, এখানে বিভিন্ন সেক্টর অনুযায়ী কোম্পানি থাকে। ব্যাংকিং সেক্টর, ফার্মা সেক্টর, FMGC (Fast-Moving Consumer Goods) সেক্টর, IT সেক্টর ইত্যাদি। NIFTY50 এর DAILY PRICE CHART দেখলে একটা ধারণা পাওয়া যায় OVERALL মার্কেট এর। ঠিক একই ভাবে SENSEX এ 30 টি কোম্পানি থাকে। ভারতে তিনভাবে কোম্পানি ভাগ করা হয়ে থাকে, লার্জ-ক্যাপ কোম্পানিগুলোর মার্কেট ক্যাপ 20,000 কোটি টাকা বা তার বেশি।  এদিকে, মিড-ক্যাপ কোম্পানিগুলোর মার্কেট ক্যাপ 5,000 কোটি থেকে 20,000 কোটি টাকার মধ্যে।  স্মল-ক্যাপ কোম্পানিগুলোর মার্কেট ক্যাপ 5000 কোটি টাকার নীচে। এই শেয়ার মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করে SEBI। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) হল ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভারতে সিকিউরিটিজ এবং পণ্য বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  এটি 1988 সালের 12 এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেবি আইন, 1992 এর মাধ্যমে 30 জানুয়ারি 1992 তারিখে সংবিধিবদ্ধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। 
কি ভাবে শেয়ারবাজারে ইনভেস্ট করবেন? শেয়ার কেনা বা বিক্রি করার জন্য প্রয়োজন Demat accont এর। একটি Demat (Dematerialised account) অ্যাকাউন্ট হল এমন একটি অ্যাকাউন্ট যা ইলেকট্রনিক আকারে আর্থিক সিকিউরিটিজ রাখে। ভারতে, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট দুটি আমানতকারী সংস্থা, NSDL (ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড) এবং CDSL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সার্ভিসেস লিমিটেড) দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। Demat এবং Trending আক্যাউন্ট SEBI অনুমোদিত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক এবং Broker এর কাছে গিয়ে খুলতে হয় । ভারতের বৃহত্তম ব্যাংকিং ব্রোকার হলো ICICI DIRECT। 

আপনি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আরও জানতে হলে এবং DEMAT ACCOUNT খুলতে হলে যোগাযোগ করুন। 

Jaydip Bhattacharyya 
Phone number - 7044153766

SBI LIFE INSURANCE

SBI Life Insurance is a joint venture life insurance company between State Bank of India, the largest state-owned banking and financial services company in India, and BNP Paribas Cardif. Individuals who are generally recommended to purchase insurance plans are individuals who have obligations to families, changes in their lifestyle in days coming soon, individuals who are about to retire and would like to ensure the family expenses are looked after even after retirement. SBI Life Insurance has many of these products to choose from, to help you think of you and your families requirement.


Contact - 7044153766
Jaydip Bhattacharyya



চীনা কোম্পানি 'এভারগ্রান্ডে' এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের প্রভাব আসতে পারে

চিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্মাণ সংস্থা এভারগ্রান্ডে। চিনের জিডিপি প্রায় ২% এই নির্মাণ সংস্থার উপর নির্ভর করে। শুধু নির্মাণের ব্যবস...